বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

মেনে নিন ন্যায্য দাবি

সারা বছর পরিশ্রম করে লেখাপড়া করে মেডিকেলে ভর্তির চান্স পায় না মেধাবী শিক্ষার্থীরা আর পড়াশুনা না করে,অসৎ উপায় অবলম্বন করে,প্রশ্ন ফাঁস করে ভর্তি হয়ে যায়  এক শ্রেনীর ছাত্ররা।আসন সংখ্যার  সল্পতা, নকল,প্রশ্নফাঁস দরিদ্র মেধাবী পরিশ্রমী সৎ ছাত্রদের আশসহত করে ফেলেছে।২০ তারিখ  ২০১৫-১৬ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পায়।তবে পরীক্ষা দেয়ার পর থেকেই প্রশ্নফাঁস এর অভিযোগ করে পরীক্ষার্থীরা।তাদের দাবি প্রশ্নফাঁসকারীদের যদি বিচারই হয় তবে পরীক্ষা কেন বহাল থাকবে?এবং সেই প্রশ্নফাঁস এর কিছু আলামতও পাওয়া যায়।
এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৮৪৭৮৪ জন শি্ক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।প্রতি আসনের বিপরীতে ২৩ জন।পাস করে ৪৮৪৪৮জন।পাসের হার ৫৮.৪%।সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে ৯৪.৭৫।বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা প্রায় আট হাজার।তার মানে পাস করেও ৩৮০০০শিক্ষার্থী মেধাক্রমে পিছিয়ে থাকার কারণে ভর্তি হতে পারবে না।আপনার কি মনে হয় বাকি ৩৮০০০ শিক্ষার্থী মেধাবী নয়?মেধাবীই যদি না হবে তবে তারা কিভাবে ssc ওhsc এতো নাম্বর পেলো।তাহলে বুঝা গেলো হয় ধরে নিতে হবে তারা মেধাবী না হয় ধরতে হবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ত্রুটি আছে।
আমি  তো তাদেরকে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের সমপর্যায়ের মেধাবী মনে করি কারণ মেধা যাচাই এর পদ্ধতি হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা আর সেই পরীক্ষার প্রশ্নই হয়েছে ফাঁস।এই মেধা যাচাইকে আপনি কিভাবে সঠিক বলবেন?আপনা হয়তো জানেন,ভর্তি পরীক্ষা হয় নৈমিত্তিক আর নৈমিত্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলে সেই পরীক্ষা নেয়ার কোন মনে থাকে না।এক মিনিট আগে প্রশ্ন পেলে যেখানে কেল্লা ফতে,সেখানে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সেই পরীক্ষাকে কিভাবে পরীক্ষা বলা চলে।ভর্তির জন্য প্রথম সারির যেই ছাত্ররা ডাক পেয়েছে আপনি কি করে নিশ্চিত হলেন যে তাদের মধ্যে কোন প্রশ্নফাঁসকারী নাই।বরং প্রশ্নফাঁসকারীদের এই সারিতে থাকার সম্ভবনাই বেশি।এটাতো নিশ্চিত যে,প্রশ্নফাঁসকারীরা কেউ ফেল করে নাই।
মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা অনিরপক্ষ যাচাই পদ্ধতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।কারণ যারা আগে প্রশ্ন পেয়েছে তারা তো ১০০-৯০মার্ক নিশ্চিত পেয়েছে।আর যারা পরীক্ষার হলে প্রশ্ন পেয়েছে তারা তো পরীক্ষা দিয়ে নাম্বার পেল।পরীক্ষার্থীর কিভাবে প্রশ্নফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে পেরে উঠবে বলুন?যেখানে সব প্রশ্নের উত্তরই তাদের আগে থেকে জানা।
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা তো এটা বলেনি যে ,আমাদেরকে ভর্তি নিতেই হবে।তারা বলেছে সচ্ছ একটি পরীক্ষা দিতে চাই।প্রশ্নফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে.লড়তে চাই।অবাধ সুস্থ নিরপক্ষ পরীক্ষার মাধ্যমে যদি নিজের যগ্যতা প্রমান করতে পরি তবেই থাকবো।না হয় আমি সড়ে যাবো।অন্য কোন মেধাবী আমার আসন পূর্ণ করবে;কোন নকলবাজ নয়।এতে করে জাতি পাবে মেধাবী কর্মী,দেশও পাবে মুক্তি।মেনে নিন আমাদের দাবি।