বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮

আবিষ্কার

কেতো আমি নবীন,আবার মাদরাসাফেরত।হালচালেও আনাড়ি আনকোরা। এখানকার অনেক ভাষায়- পরিভাষায় নিয়মে- নীতিতে জ্ঞ
অনভিজ্ঞ।মাদরাসার অনেক ভাষা-পরিভাষা নিয়ম-নীতি এখানে নেই।আবার এখানের অনেক ভাষা-পরিভাষা মাদরাসায় অনুপস্থিত। ব্যবস্থাপনায়ও আছে বিস্তর পার্থক্য।ক্যাপ্টেন নামক বস্তুর মাদরাসায় কোন অস্তিত্ব নেই।আর এখানে ক্যাপ্টেনরাই ক্লাসের বড় কাপ্তান।বলতে গেলে তারাই শ্রেণীশিক্ষকের অনেক কাজ হালকা করে।
মাদরাসায় উস্তাদেরা পড়ান এবং পড়া নেন।স্কুলে মাস্টারেরা পড়াতে নয়।পড়া শুনতেই বেশি ভালোবাসেন।সেখানে আদব আখলাককেও শিক্ষার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এখানে তেমন করা হয় না।দুই-এক জন ব্যক্তিগতভাবে হয়তো চেষ্টা করেন, তবে তাঁদের কর্মবল তাঁদের জনবলের মতই দুর্বল।এখানে পাঠদানের উন্নত পদ্ধতি আছে কিন্তু চরিত্রগঠনের সামান্য ব্যবস্থা নেই।ওখানে চরিত্রগঠনের ব্যবস্থা আছে কিন্তু পাঠদানের উন্নত পদ্ধতি নেই।চরিত্রগঠন ও উন্নত পাঠদানের সেতুবন্ধন আবশ্যক। এখানে পাঠদানে গতি আছে,আন্তরিকতা নেই।ওখানে শিক্ষায় আন্তরিকতা আছে,গতি নেই।গতি আর আন্তরিকতার সমন্বয় দরকার।হৃদয় থেকে হৃদয়ে শিক্ষার উচু উচু তরঙ্গের প্রয়োজন। হৃদয় থেকে হৃদয়ে জ্ঞান বিতরণের পথ তখনো এখানে রুদ্ধ ছিল,  এখনো আছে।বেড়েছে কেবল সমস্যার প্রকটতা ও গতিশীলতা। কারী গোলাম মোস্তফা (রহ.)এর মতো একজন মুহসেন উস্তাদের এখানে খুব প্রয়োজন। যিনি শুধু পড়া শুনবেনই না পড়াবেনও।শুধু ছাত্রই তৈরী করবেন না,শিক্ষকও তৈরী করবেন। শিখবেন ও শিখাবেন।যিনি না পড়িয়ে ব্লাকবোর্ডের কিনারে H.W লিখে তার নীচে আগামী দিনের কার্য্যবিবরণী লিখবেন না।নিজের কর্তব্যকে home work এর নামে ছাত্রদের উপর চাপাবেন না।আমার মতো ছাত্র-যারা কিনা H.w এর মানেই বুঝে না,তারা কীভাবে নীচে থাকা বিষয়গুলি আগামী দিন পড়ে আসবে?!.। HW এর মানে যদি হয় home work তবে সে তো বাড়িতে অনুশীলনের বিষয়,শিখে আসার বিষয় নয়
বাড়ি থেকে যদি শিখে আসতেই বলেন তবে তারা স্কুলে এসেছে কেন?বাড়িতে তারা কার কাছে শিখবে?শিখার জন্যই তোএখানে এসেছে।H.w এর মানে বের করাই ছিল স্কুলজীবনের প্রথম আবিষ্কার।