শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সবার ভাগ্য পাল্টায়,আমাদের ভাগ্য কেন পাল্টায় না?

সবার ভাগ্য পাল্টায়,আমাদের ভাগ্য কেন পাল্টায় না? ভাগ্য পাল্টাবেন? ইতিহাস পাল্টাবেন? লাগবে পরিশ্রম, লাগবে রক্ত।পরিশ্রম ছাড়া সফলতা, রক্ত দেয়া ছাড়া ইতিহাস বদলানো কখনই কি সম্ভব? আমরা কামরাঙ্গীর চর বাসী কি আমাদের ভাগ্য বদলাতে পরিশ্রম  এবং রক্ত ঢেলেছি? এই সেদিনের কথা ঐতিহাসিক ৫ই আগস্ট, ফজরের পর থেকে ভাবছিলাম এখান থেকে যদি কোন মিছিল অথবা দল যায় এক সাথে যাবো।কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার একটি দল বা মিছিলও যায়নি।এতো এতো মাদরাসা, এতো বড় থানা সবাই কেন আন্দোলনের দিনগুলোতে এক হতে পারলাম না?মাদরাসাগুলো যেখানে এই আন্দোলনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে,সেখানে আমাদের এলাকার মাদরাসা গুলো কেন একত্রিত হতে পারেনি?লালবাগে স্বৈরাচারের দোসর ফয়জুল্লাহ থাকা সত্যেও তারা পেরেছিলো।আমরা কেন পারলাম না?
ব্যাক্তিগতভাবে অনেকে অনেক কিছু করেছে,শহীদ শোভন আমাদেরকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছে।কিন্তু সবাই একত্রিত হতে পারেনি।কিন্তু কেনো? ঐ কুত্তা ফ্যাসিস্টদের কারণে? হ্যা ঠিক। ঐদিন মাদবরেরা ব্রিজের গোড়ায় যে কাজ করেছে  কোন মানুষ তার সমর্থন করতে পারে না।সেকশন রনি মার্কেটে আওয়ামী কুত্তারা ছাত্রীদের অশালীন গালিগালাজ করেছে। তারপরও আমরা একত্র হতে পারতাম কেনো পারলাম না? কারন? ১/ইচ্ছা ছিলো না, ২/এখানে আওয়ামীর সংখ্যা বেশি ৩/পা চাটা দালালের সংখ্যা অনেক প্রথম কারণ ইচ্ছা ছিলো না। সেটা আমাদের দোষ। ইচ্ছা থাকলে শত বাঁধা বিপত্তি সত্যে আমরা এক হোতাম।কোন আন্দোলনে  যারা ছিলো না। বিজয় মিছিল আর লুটপাটে তারা সবার আগে।ছাত্ররা ছিলো গণভবনে, বি এন পি নেতারা তখনও কারাগারে, ঐ প্রথম দিনের লুটপাট করলো কারা?কামরাঙ্গীর চরে তো পুলিশ ছাত্র মারামারি হয়নি তাহলে থানা ভাংলো কারা?ঐ পা চাটা দলবদল পাটির চামচারা।গলিতে গলিতে চামচা,বাড়িতে বাড়িতে চামচা,এলাকায় এলাকায় চামচা।চামচা আর চামচা। এখানে আওয়ামী লীগ সংখ্যা এতো বেশি যে আমার মনে হয় না এই এলাকায় অন্য কোন দল কোনদিন বেশি ভোট পেয়েছে। কামরাঙ্গীর চর বাসীর আওয়ামী লীগ করার কারণ কি? এক ও একমাত্র করণ মূর্খতা। জি,মূর্খতা। কি পেয়েছে আওয়ামী লীগ করে।শিক্ষা নাই, চিকিৎসা নাই,গ্যাস নাই।নাই আর নাই।আছে গ্যাং স্টার,গাঁজা খোর,কমিশনারের নামে মূর্খ শালিস বিচারক।তবু আওয়ামীলীগ করতে হবে!জমি চলে গেলে ভূমি রক্ষা কমিটি করতে হবে।কমিটির সদস্য হবে আওয়ামী নেতা,দালাল।ভূমি আওয়ামিলীগ কেড়ে নিলেও আওয়ামী লীগের বদনাম করা যাবে না।এটাই হবে ভূমি রক্ষা কমিটির নীতিমালা। কেউ সমালচনা করলে তাকে মারতে হবে। আওয়ামী লীগ করতে হবে!এরাই ছিলো আমাদের নেতা!আমরা মেনে নিয়েছিলাম।আওয়ামী লীগ করেছিলাম।তবে কিভাবে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে? গ্যাসের জন্য মানববন্ধন করা যাবে না।এতে আমার দলের বিরুদ্ধে যায়।দলের বিরুদ্ধে গেলে চলবে না।তবে কিভাবে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে? হাসপাতালের ভিতরে নেতার খেলার মাঠ,চিকিৎসা তো নেই-ই। এটাকে হাসপাতালও বলা চলেনা।কিন্তু দলের সমালোচনা করা চলবে না।তবে কিভাবে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে?
"সাধে কি আর স্বৈরাচার আপা কামরাঙ্গীর চরকে আওয়ামী লীগের অভয়ারণ্যে বানাতে চায়? দেশ স্বাধীন হলো, নেতারা পালালো,চাঁদবাজা ভাগলো, আর একদল আসলো।চাঁদা চাইলো, নৌকা ঘাটে, টলার ঘাটে।ছত্রদের ডাকলেন চাঁদা বাজি উঠিয়ে দিলো,ছাত্ররা চলে যেতে বললেন কয়দিন আর এরকম? কয়দিন পর আবার আগের মত শুরু হবে,আগেই একটা সিস্টাম আছিলো ভালো ছিলো।দলপাল্টেছে মাত্র। সিস্টাম আগেরটাই থাকবে।আমরাতো সিস্টেমটাই পাল্টাতে চাচ্ছি।আপনার কেনো দলের জন্য এতো মায়া? নৌকায় ভোট দিয়ে তো নৌকার চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারবেন না।আপনার ইচ্ছা থাকলে আপনি নিজেই শুরুতেই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারতেন।ছাত্রদের ডাকতে হতো না। আপনাদের ভাগ্য কোন দিন পরিবর্তন হবে না।

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কামরাঙ্গীর চরবাসীর উপর ধেয়ে আসা কিছু সমস্যা ও প্রতিকার।

কামরাঙ্গীর চরবাসীর উপর ধেয়ে আসা কিছু সমস্যা ও প্রতিকার। ১/ফ্যাসিস্টরা চলে গেছে ফ্যাসিস্ট এর অনুসারীরা আছে ফ্যাসিস্ট চিন্তা শুধু কিন্ত একটি দলই লালন করে না অন্যরাও করে।ফ্যাসিস্টকে রুখতে হবে,সব দলের ফ্যাসিস্ট। ২/আগের চাঁদাবাজেরা চলে গেছে কিন্তু চাঁদাবাজি কিন্তু একেবারে চলে যায়নি।ভাইয়ের জোরে, নেতার জোরে।দলের নাম ভাংগিয়ে,চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে তিনিই আবার চাঁদা চাইতে আসবেন, কি করবেন? রুখে দিবেন। কিভাবে রুখবেন?সবাই মিলে। এতো বড় অপশক্তিকে যদি আমরা সবাই মিলে তাড়াতে পারি এটাকেও পারবো। ৩/একদল গেছে আর এক দল এসেছে।নেতার ছবির কারণে পোস্টার দেখা যায় না।এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে।চান্স দিবেন না।এলাকার সমস্ত কমিটি ভেংগে দেন।নতুন করে সৎ সহসী মেধাবী কর্মউদ্যমীদের নিয়ে এলাকায় এলাকায় কমিটি করুন।প্রয়োজনে একে অন্যের সহায়তা নেন। ৪/পা চাটার দল থেকে সাবধান।চামচাদের এলাকা ভিত্তিক সামাজিক বয়কট করুন।নেতারা এমনিতেই বয়কট হবে।
৫/ফাঁকা মাঠে অনেকেই এলাকা ভিত্তিক ভূমি দুস্য হয়ে যতে চাচ্ছে। আওয়াজ তুলুন, ছাত্র এবং সেনাবাহিনীর সহায়তা নিন। ৬/কামরাঙ্গীর চর বাসীর এটা লগবে, ঐটা লাগবে,আসলে যদি চাওয়া সময় হয় বলবো কামরাঙ্গীর চর বাসীর লাগবে একটি পরিপূর্ণ "সরকারি মেডিকেল কলেজ" এবং একাধিক "সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়"।আরো অনেক কিছু লাগবে। কিন্তু সবার আগে এই দুইটা লাগবে। উন্নয়নের কথা আসলে এটার কথা সবার আগে বলুন।

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সমালোচনা

অনেক সমালোচনা হচ্ছে, যেকোন কিছুতেই একদল তেড়ে অসছে,সমালোচনা ঝড় বওয়াতে চাচ্ছে,কি করবে?কি করনীয়? ১ সর্বপ্রথম নিজের বিবেকে প্রশ্ন করুন আপনি ইনসাফের উপর আছেন কিনা? যদি থাকেন ভয় নাই। চালিয়ে যান সমালোচনা সবসময়ই থাকবে এটা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ২. সমালোচনা কারা করছে বেড় করুন, সমালোচনা সাধারণত দুই ধরণের লোক করে ১/যারা আপনার ভালো চায়, চায় আপনার কাজটা আরো নিখুঁত হোক ২/যারা আপানার কোন ভালোই দেখতে পারে না।সবসময়ই জ্বলে। সমালোচনা করবেই করবে,এদের কথায় কখনো কান দিবেন না। এবার আসি ছাত্রদের কাথায়, তারা যাই করছে একদল সমালোচনা তীর নিয়ে আসছে মেধাবীরা দেশের বিরাট ক্ষতি করে ফেলল আরো কতকি! ছাত্র ভাইয়েরা প্রথমে আমার উপরে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী নিজেকে যাচাই করতে পারেন।আরো দুইটি বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করতে পারেন। ১/যারা অনবরত আপনাদের সমালোচনায় লিপ্ত তাদের প্রফাইলে যাবেন জুলাই মাসে তাদের পোস্টগুলো দেখবেন সে কতটা মনবিক জুলাইতে তার পোস্ট বলে দিবে।জুলাইতে ছাত্রদের পক্ষে পোস্ট থাকলে বুঝবেন সে হয়তো আপনার কাছ থেকে আরো ভালো কিছু আশা করছে।ছাত্রদের পক্ষে পোস্ট না থাকলেই কিন্তু এমন না সে ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলো। ২ /যদি দেখেন এখন প্রতিদিন দুই চারটা সমালোচনা পোস্ট , খুবই এক্টিভ কিন্তু তার প্রফাইলে জুালাই মাসে কোন ভালো মন্দ পোস্ট নেই।কোন পোস্টই নেই,মানে সব পোস্ট বসে বসে কেটেছে, মানে জুলাই মাসে হয়তো সে বোবা শয়তান ছিলো না হয় স্বৈরাচারের দোসর ছিলো।সে আপনার দুশমন জাতির দুশমন।সে যতই নিজেকে নিরপেক্ষ বলুক না কেন সে রূপ পাল্টিয়ে বহুরূপে এসেছে।তাকে শুধু একটা প্রশ্ন করবেন এখন এতো সমালোচনা তখন কোথায় ছিলেন? বলবে হয়তো, ফেসবুকে এক্টিভ ছিলাম না।এখন যে এতো এক্টিভ তখন কেন এতো নীরব? উত্তর- সরকারের ভয়ে,স্বৈরাচারের ভয়ে। প্রশ্ন করবেন, এখন ঐ ভয় কোথায় গেলো? বলবে এখনতো আর স্বৈরাচার নাই। বলবেন যে ছত্ররা আপনাকে ঐ কথা বলার স্বাধীনতা এনে দিলো তাদেরকে নিয়ে একবারও প্রশংসার পোস্ট দিয়েছেন? দেননি।তাই আপনার সমালোচনায় আমারও কোন যায় আসে না। তাদের চিনে রাখুন তারা আওয়ামী সরাকারের সুবিধা ভুগী।বহুরূপে আসে কালে কালে।