কামাল ভাই!আপনার সবচেয়ে পছন্দের একটা জিনিস আছে এতে,বলেন তো সেটা কি?সাহাবুদ্দিন এর হাতে একটা পলিথিনের ব্যাগ , সেটা দেখিয়ে প্রশ্নটা করল।আমার উত্তরের অপেক্ষাও করলেন না। ব্যাগের ভিতর থেকে একটা ছেড়া কাগজের ব্যাগ বের করল,আম্মা পাঠিয়েছেন-,ব্যাগ থেকে যেটা বের হল তার নাম- টক বড়ই -টক বড়ই আসলেই আমার খুবই পছন্দের একটা জিনিস । আমাকে দিতে হল না । আমি নিজে থেকেই নিলাম।
-আমার জন্য ও একটা জিনিস আছে,'পড়া আলু ' -অনেক দিন খাই না, ঢাকায় লাকড়ির চুলাও নাই,আলু পুড়ে খাওয়াও হয় না।নগর জীবনের কারণে আমদেরকে কতো কিছু না কুরবানি করতে হয়-কতো মিষ্টি সকাল,কতো সোনালী বিকাল এর বিসর্জনে বিনিময়ে আমাদের অর্জন নগর-জীবন।
আম্মা জানে আমি এটা পছন্দ করি তই পাঠিয়েছেন। খাবেন?...ঠাণ্ডা তো মজাও পাবেন না। কি পাগলামি বলেন তো !...'পড়া আলু' পাঠানোর একটা জিনিস হল নাকি?....
আপনার পছন্দ অপছন্দ সবার কাছে মূল্যহীন হতে পাড়ে কিন্তু আপনার ভালোবাসার মানুষের কাছে সেটাই মহামূল্যবান ।
সাহাবুদ্দিন আলুটা ভাঙ্গল,ঠাণ্ডা,শীতল একটি আলু,আমি কিন্তু সেই নির-উত্তাপ আলুতে পরম ভালোবাসা ও মমতার উষ্ণতা অনুভব করলাম।ছেলে ঢাকায় বসে যে আলুটা খাচ্ছে তাতে মমতার পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন মা, এই মুহূর্তে যিনি শত কিলোমিটারের দূরে অবস্থান করছেন,ভালোবাসার কাছে দূরত্ব যে কতটা অসহায় সেটাই দেখতে পেলাম।
আমার এক বন্ধু সিংগাপুর থাকে, যখনই কেউ সিংগাপুর যায় তখনই ওর মা তার কাছে কত কিছু না রেঁধে পাঠায় তার হিসাব নাই। তার পরেও বলে ঐ জিনিসটা ওর অনেক পছন্দের ছিল পাঠাতে পারলাম না রে...যদিও সেগুলোর বেশি ভাগই আমার বন্ধু পর্যন্ত পৌঁছে না বিভিন্ন ঝামেলার কারণে। তবু ওর মা যত্ন করে রাঁধেন এবং পাঠান।
আমরা জানি যারা প্রবাসে থাকে তারা অনেক কষ্টে থাকেন ।তাদের মনের আকুলতা ও ব্যথা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।তাদেরকে প্রবাসে পাঠিয়ে তাদের প্রিয়জনেরাও যে কতোটা কষ্টে থাকেন তার খবর কেউ রাখে না। তাদের বুকের কষ্ট,দুঃখ চিরকালই গোপন থেকে যায়।কবি কথা -
খড়কুটো ঘর ,বসতি বর
হাজার মায়ের ব্যস্ত শহর
কাছের মানুষ যাপ্সা হলে ঘোলাটে সংসার।
দূরের দেশে যাদের কাছে, বন্ধক চিঠি রাখা আছে
তাদের ঘরে, তাদের মনে রাত দিন পারাপার।।
সকাল যখন সকাল উঠে ,বরফ গলা সূর্য ফুটে
লেপের রুমে জমলে ক্রমে
শীত ঘুম অভিমান।
ঘুম ভাঙ্গা মে আদর গলায় মায়ের কণ্ঠ গল্প বলায়
শিখর আমার শিখর তখন মারে হেঁচকা টান।।
( হাফেজ্জী হুজুর রহঃ ইরাক সফর কলে তার সাথে সাক্ষাত করতে আসা শ্রমিকদের প্রতি লক্ষ করে বলেছিলেন,বাল-বাচ্চাদের আহারের ব্যবস্থা করার জন্য যারা এতো দূরে এসে কষ্ট করে কাজ করে তাদের সাথে সাক্ষাত করতে পরে নিজেকে ধন্য মনে করা উচিৎ।সেই সম্মানিত শ্রমিকদের প্রতি আমার এই লেখা উৎসর্গ করলাম।)
[আরিফুল ইসলামকে ধন্যবাদ তার সদুপদেশের জন্য, যার জন্য আজ আমি কি-বোর্ডের মাধ্যমে প্রথম বারের মত আমার লেখা লিখলাম।এর আগে আমি অন-স্কিন কি-বোর্ডের মাধ্যমে মাউস দিয়ে লিখতাম। আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন]
-আমার জন্য ও একটা জিনিস আছে,'পড়া আলু ' -অনেক দিন খাই না, ঢাকায় লাকড়ির চুলাও নাই,আলু পুড়ে খাওয়াও হয় না।নগর জীবনের কারণে আমদেরকে কতো কিছু না কুরবানি করতে হয়-কতো মিষ্টি সকাল,কতো সোনালী বিকাল এর বিসর্জনে বিনিময়ে আমাদের অর্জন নগর-জীবন।
আম্মা জানে আমি এটা পছন্দ করি তই পাঠিয়েছেন। খাবেন?...ঠাণ্ডা তো মজাও পাবেন না। কি পাগলামি বলেন তো !...'পড়া আলু' পাঠানোর একটা জিনিস হল নাকি?....
আপনার পছন্দ অপছন্দ সবার কাছে মূল্যহীন হতে পাড়ে কিন্তু আপনার ভালোবাসার মানুষের কাছে সেটাই মহামূল্যবান ।
সাহাবুদ্দিন আলুটা ভাঙ্গল,ঠাণ্ডা,শীতল একটি আলু,আমি কিন্তু সেই নির-উত্তাপ আলুতে পরম ভালোবাসা ও মমতার উষ্ণতা অনুভব করলাম।ছেলে ঢাকায় বসে যে আলুটা খাচ্ছে তাতে মমতার পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন মা, এই মুহূর্তে যিনি শত কিলোমিটারের দূরে অবস্থান করছেন,ভালোবাসার কাছে দূরত্ব যে কতটা অসহায় সেটাই দেখতে পেলাম।
আমার এক বন্ধু সিংগাপুর থাকে, যখনই কেউ সিংগাপুর যায় তখনই ওর মা তার কাছে কত কিছু না রেঁধে পাঠায় তার হিসাব নাই। তার পরেও বলে ঐ জিনিসটা ওর অনেক পছন্দের ছিল পাঠাতে পারলাম না রে...যদিও সেগুলোর বেশি ভাগই আমার বন্ধু পর্যন্ত পৌঁছে না বিভিন্ন ঝামেলার কারণে। তবু ওর মা যত্ন করে রাঁধেন এবং পাঠান।
আমরা জানি যারা প্রবাসে থাকে তারা অনেক কষ্টে থাকেন ।তাদের মনের আকুলতা ও ব্যথা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।তাদেরকে প্রবাসে পাঠিয়ে তাদের প্রিয়জনেরাও যে কতোটা কষ্টে থাকেন তার খবর কেউ রাখে না। তাদের বুকের কষ্ট,দুঃখ চিরকালই গোপন থেকে যায়।কবি কথা -
খড়কুটো ঘর ,বসতি বর
হাজার মায়ের ব্যস্ত শহর
কাছের মানুষ যাপ্সা হলে ঘোলাটে সংসার।
দূরের দেশে যাদের কাছে, বন্ধক চিঠি রাখা আছে
তাদের ঘরে, তাদের মনে রাত দিন পারাপার।।
সকাল যখন সকাল উঠে ,বরফ গলা সূর্য ফুটে
লেপের রুমে জমলে ক্রমে
শীত ঘুম অভিমান।
ঘুম ভাঙ্গা মে আদর গলায় মায়ের কণ্ঠ গল্প বলায়
শিখর আমার শিখর তখন মারে হেঁচকা টান।।
( হাফেজ্জী হুজুর রহঃ ইরাক সফর কলে তার সাথে সাক্ষাত করতে আসা শ্রমিকদের প্রতি লক্ষ করে বলেছিলেন,বাল-বাচ্চাদের আহারের ব্যবস্থা করার জন্য যারা এতো দূরে এসে কষ্ট করে কাজ করে তাদের সাথে সাক্ষাত করতে পরে নিজেকে ধন্য মনে করা উচিৎ।সেই সম্মানিত শ্রমিকদের প্রতি আমার এই লেখা উৎসর্গ করলাম।)
[আরিফুল ইসলামকে ধন্যবাদ তার সদুপদেশের জন্য, যার জন্য আজ আমি কি-বোর্ডের মাধ্যমে প্রথম বারের মত আমার লেখা লিখলাম।এর আগে আমি অন-স্কিন কি-বোর্ডের মাধ্যমে মাউস দিয়ে লিখতাম। আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন