আমরা স্কুলে আছি আর শিক্ষক ক্লাসে নাই এরচেয়ে আনন্দের সংবাদ স্কুলজীবনে নাই। যেইদিন স্যার ক্লাসে না আসতেন অথবা যখন স্যার ক্লাস থেকে চলে যেতেন তখন আমরা বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠতাম। এরমধ্যে বিশেষ একটি খেলা-যেটি চতুর্থ শ্রেণীতে অধ্যয়ণকালীন আমাদের শ্রেণীকক্ষে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা; ছেলে -মেয়ে, ছোটো-বড় সবার কাছে সবক্লাসে সমান জনপ্রিয় খেলা। তবে মেয়েদের কাছেই খেলাটি ছিলো বেশি জনপ্রিয়।
আমার দুই বেঞ্চ সামনে বসতো মেয়েরা ।দশ বিশ ত্রিশ বলে বলে ওরা একে অন্যের হাতের সাথে হাত বাড়ি মারতো।হাতের সাথে হাত লাগায় হাততালির মত ছন্দময় আওয়াজের সৃষ্টি হতো। কখনো উপর-নীচ করে কখনো আড়াআড়িভাবে হাতে হাত লাগাতো। কখনো দুইজন কখনো একাধিকজনে মিলে এই খেলাটি খেলতো। দূর থেকে আমি তাদের ঐ খেলা দেখতাম।ভাবতাম আমিও যদি পারতাম তাদেরে ঐ সূর ও ছন্দে ভেসে যেতে।কী ছন্দময় সে ধ্বনি! চিত্রময় সে কর্মপ্রদর্শন।
ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকা ঐ খেলা -যাকে আমরা দশ বিশ ত্রিশ খেলা বলতাম। কেউ কেউ এটাকে "হাতেহাত" খেলা অথবা "কাভি উপর কাভি নীচ"খেলাও বলতো।
আমাদের ক্লাসে ছিল একটি মেয়ে- গোলাপকে শিশির কিংবা বৃষ্টি ধুয়ে দিলে সেই গোলাপ যেমন নির্মল ও প্রাণবন্ত হয় মেয়েটি ছিল তেমনই নির্মল ও প্রাণবন্ত।
মেয়েটির নাম - আয়শা;সে যতটা চঞ্চল ততটাই খোলা-মনের।তারচেয়ে বেশি ঐ খেলায় দক্ষ। সে-ই সর্বপ্রথম আমাকে খেলাটির কলাকৌশল ও নিয়মকানুন শিখিয়ে দেয়। খেলাটি শিখে আমি খুবই শিহরিত ও উত্তেজিত হই।অনেক উৎসহের সাথে কথাটি আমার বোনদের জানাই।কিন্তু আমার উত্তেজনা আমার আকর্ষণ আমি তাদের মাঝে দেখতে পাই না।আমার যাতে এতো আগ্রহ তাতে ওদের কোন আগ্রহ নেই।কেন জানি বয়স যত বাড়ে কৌতূহলীভাব তত কমে।
আমার দুই বেঞ্চ সামনে বসতো মেয়েরা ।দশ বিশ ত্রিশ বলে বলে ওরা একে অন্যের হাতের সাথে হাত বাড়ি মারতো।হাতের সাথে হাত লাগায় হাততালির মত ছন্দময় আওয়াজের সৃষ্টি হতো। কখনো উপর-নীচ করে কখনো আড়াআড়িভাবে হাতে হাত লাগাতো। কখনো দুইজন কখনো একাধিকজনে মিলে এই খেলাটি খেলতো। দূর থেকে আমি তাদের ঐ খেলা দেখতাম।ভাবতাম আমিও যদি পারতাম তাদেরে ঐ সূর ও ছন্দে ভেসে যেতে।কী ছন্দময় সে ধ্বনি! চিত্রময় সে কর্মপ্রদর্শন।
ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকা ঐ খেলা -যাকে আমরা দশ বিশ ত্রিশ খেলা বলতাম। কেউ কেউ এটাকে "হাতেহাত" খেলা অথবা "কাভি উপর কাভি নীচ"খেলাও বলতো।
আমাদের ক্লাসে ছিল একটি মেয়ে- গোলাপকে শিশির কিংবা বৃষ্টি ধুয়ে দিলে সেই গোলাপ যেমন নির্মল ও প্রাণবন্ত হয় মেয়েটি ছিল তেমনই নির্মল ও প্রাণবন্ত।
মেয়েটির নাম - আয়শা;সে যতটা চঞ্চল ততটাই খোলা-মনের।তারচেয়ে বেশি ঐ খেলায় দক্ষ। সে-ই সর্বপ্রথম আমাকে খেলাটির কলাকৌশল ও নিয়মকানুন শিখিয়ে দেয়। খেলাটি শিখে আমি খুবই শিহরিত ও উত্তেজিত হই।অনেক উৎসহের সাথে কথাটি আমার বোনদের জানাই।কিন্তু আমার উত্তেজনা আমার আকর্ষণ আমি তাদের মাঝে দেখতে পাই না।আমার যাতে এতো আগ্রহ তাতে ওদের কোন আগ্রহ নেই।কেন জানি বয়স যত বাড়ে কৌতূহলীভাব তত কমে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন