শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

জুলাই

জুলাই আন্দোলন ও দুটি কথা। ৫ আগস্টের পরে, বিজয় মিছিল করে অথবা আওয়ামী ক্লাব ভাংচুর করে,লুটপাট নৈরাজ্য করে জুলাই -যোদ্ধার ভাব নিচ্ছে, এরা কেউ জুলাই যোদ্ধা নয়।সুবিধাবাদী।
যারা জুলাই মাসে যেকোন ভাবে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলো।তারা মূলত জুলাই-যোদ্ধা। যারা সমর্থন দিয়েছেন সেই সময়, তারাও বিপ্লবী-সাথী। আর যারা ১৫ বছর ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে লড়েছে তাদের লড়াই-ই জুলাই লড়াইয়ের সাথে মিশেছে। অনুপ্রেরণা পেয়েছে।তারা এক ও অভিন্ন। জুলাইকে ধারণ করবো তাদেরকে বিভিন্ন সুবিধা দিবো।কিন্তু সুবিধা যেন মুক্তিযোদ্ধা কোটার মত বৈষম্যপূণ না হয়ে যায়। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫

হেফাজতের হতাশা

আমাদের ভুল ছিলো,অনেক ভুল ছিলো,ভুলের কারণেই আওয়ামিলীগ আমাদের দিকে বন্দুক তাক করতে পেরেছিলো। যেখানে আহমদ শফি (রহঃ)যেতে পারছিলেন না।সেখানে আমাদের অবস্থান-কর্মসূচি দিলো কেনো?আহমদ শফি সাহেব রহঃ বক্তব্য কেন তাঁর মুখ থেকে শুনালো হলো না?সারাদিন যে ব্যাপারে জানানো হয়নি, যেটার পূর্বপরিকল্পনাও ছিলো না। সেই "অবস্থান" ছিলো কার নির্দেশে, কার স্বার্থে। হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানালেন।ঈমানী-আন্দোলনকে সরকার পতন আন্দোলনে নিয়ে গেলেন কার স্বার্থে। সেদিন হেফাজত সফল হলে বলতো, আমারা সব করেছি। সফল হয়নি, করো কিছু হয়নি।শুধু শুধু নিরীহ প্রান ঝরল।নেতারা যার যার ভাগ পেয়ে গেলো।আমীরেরা বেইমানি করলো।অনেক সম্ভবনার "হেফাজত" অনেক হতাশা নিয়ে তার অপমৃত্যু হলো। অথচ অবস্থা এমন দাড়িয়েছিলো যে সরকার আমাদের দাবী মানতে বাধ্য ছিলো,একটু কৌশলী হলে হেফাজতকে কোন ভাবেই সরকার দাবায়ে রাখতে পারতো না। এর ফলে আওয়ামিলীগ আরো শক্তিশালী হলো,রক্তপিপাসু হলো।ভাবলো মানুষ মেরে মানুষকে দাবায়ে রাখা যায়। নেতারা বেইমানি করলেও শহীদেরা করে না।রক্ত কোনদিন বৃথা যায় না।শহীদেরা ফেরে আসলো অনেক পরে ২৪শে।
১৩ সালেই ২৪ হতে পারতো।সেই দিন সারাদিন আওয়ামিলীগের কাছে কোন অপশন ছিলো না।আমাদের একটা ভুলে ১৩ থেকে ২৪ পর্যন্ত রক্ত ঝরিয়ে অপেক্ষা করা লাগলো।