মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
হেফাজতের হতাশা
আমাদের ভুল ছিলো,অনেক ভুল ছিলো,ভুলের কারণেই আওয়ামিলীগ আমাদের দিকে বন্দুক তাক করতে পেরেছিলো।
যেখানে আহমদ শফি (রহঃ)যেতে পারছিলেন না।সেখানে আমাদের অবস্থান-কর্মসূচি দিলো কেনো?আহমদ শফি সাহেব রহঃ বক্তব্য কেন তাঁর মুখ থেকে শুনালো হলো না?সারাদিন যে ব্যাপারে জানানো হয়নি, যেটার পূর্বপরিকল্পনাও ছিলো না। সেই "অবস্থান" ছিলো কার নির্দেশে, কার স্বার্থে।
হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানালেন।ঈমানী-আন্দোলনকে সরকার পতন আন্দোলনে নিয়ে গেলেন কার স্বার্থে। সেদিন হেফাজত সফল হলে বলতো, আমারা সব করেছি।
সফল হয়নি, করো কিছু হয়নি।শুধু শুধু নিরীহ প্রান ঝরল।নেতারা যার যার ভাগ পেয়ে গেলো।আমীরেরা বেইমানি করলো।অনেক সম্ভবনার "হেফাজত" অনেক হতাশা নিয়ে তার অপমৃত্যু হলো।
অথচ অবস্থা এমন দাড়িয়েছিলো যে সরকার আমাদের দাবী মানতে বাধ্য ছিলো,একটু কৌশলী হলে হেফাজতকে কোন ভাবেই সরকার দাবায়ে রাখতে পারতো না।
এর ফলে আওয়ামিলীগ আরো শক্তিশালী হলো,রক্তপিপাসু হলো।ভাবলো মানুষ মেরে মানুষকে দাবায়ে রাখা যায়।
নেতারা বেইমানি করলেও শহীদেরা করে না।রক্ত কোনদিন বৃথা যায় না।শহীদেরা ফেরে আসলো অনেক পরে ২৪শে।
১৩ সালেই ২৪ হতে পারতো।সেই দিন সারাদিন আওয়ামিলীগের কাছে কোন অপশন ছিলো না।আমাদের একটা ভুলে ১৩ থেকে ২৪ পর্যন্ত রক্ত ঝরিয়ে অপেক্ষা করা লাগলো।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন